শুধু নাগরিকত্ব নয়,দেশভাগের ক্ষতিপূরণ চাই!
বাণভাসি সোনার বাংলা,বাণভাসি সারা ভারতবর্ষ,ফড়িং শুধোয়,কত জল?
বাঁকুড়া থেকে পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম থেকে বর্ধমান, বন্যায় ভাসছে বাংলা!
২০২০–র মধ্যে হিন্দু রাষ্ট্র হবে ভারত: সিঙ্ঘল
পলাশ বিশ্বাস
জলাধারের ছাড়া জলে প্লাবিত গ্রামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ঘরছাড়া মানুষের সংখ্য..
সৌজন্যঃ এই সময়
তেমন বিপর্যয় জার্জিলিংএ হলেও,আমাদের বাংলায় এখনো হযনি তাই ত ঈলিশ পার্বণ।
সংবাদে প্রকাশ,বন্যায় ভাসছে রাজ্যের বহু জেলা। বানভাসী বাংলার আঁচ পড়েছে বাজারেও। সব্জি থেকে মাছ,মাংস সবেরই দাম চড়ছে কয়েকগুন। কেজি প্রতি কাঁচা লঙ্কা ১০০ টাকা। পটলের দাম কেজি প্রতি পঞ্চাশ থেকে ষাট টাকা। ঝিঙে পঞ্চাশ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি পঞ্চাশ থেকে ষাট টাকা। বেগুন ষাট টাকা। টমেটো কেজি প্রতি চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকা। ফুলকপি পঞ্চাশ টাকা। আগুন বাজারে হিমশিম অবস্থা ক্রেতাদের।
এদিকে, ভয়াবহ আকার নিয়েছে মুর্শিদাবাদের বন্যা পরিস্থিতিও। পুকুরের সঙ্গে মিশে গেছে রাস্তা। কান্দিতে পুকুরে তলিয়ে যায় ক্লাস ফাইভের ছাত্রী। হিজল, ভরতপুর, খড়গ্রাম, নবগ্রাম কার্যত জলের তলায়। নবগ্রামে ভেঙে গিয়েছে নদীবাঁধ। কান্দি-সালার রাজ্য সড়ক বন্ধ। গতকাল বড়ঞায় ত্রাণশিবিরে যান তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে দুর্গতদের।
খবরে চোখ রাখছেন নিশ্চয়ই। জলবন্দী জনজীবন নদী মাতৃক দেশের কঠিন সমাজ বাস্তব,শুধু জমিহারা,ভিটেছাড়া আমরা সাঁতার কাটতেই ভুলে গেছি বেমালূম,তাই হড়কা বাণে প্রাণ যায় যায়।
খড়কুটো ধরে বেঁচে থাকার মুরোদ নেই।
না আছে কেয়া পাতার নৌকো কোথাও,না আছে পদ্মা নদীর মাঝে,না আছে সেই তিতাস একটি নদীর নাম।
পুতুল নাচের ইতিকথাই শেষ পর্যন্ত আমাদের জীবন যাত্রা।
দিদি ত মহারানী ,যুবরাজ বা ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টারের সঙ্গে দেখা না করেি ফিরে এলেন,আমাদের প্রাণের প্রাণ তিনি। প্রাণ যায় বা থেকে যায়,তিনি ভালো থাকুন।
লন্ডনে এত্তা এত্তা জন্জাল,আমাদের তবু সোনার কোলকাত্তা আছে।
পূব আমরা প্রায় সত্তর বছর আগে,এখন পশ্চিমে আমাদের সূর্যোদয়।
পশ্চিম আমাদের ভূগোল,পশ্টিম আমাদের ইতিহাস,পশ্চিম আমাদের সাহিত্য,আমাদের সংস্কৃতি,আমাদের মাতৃভাষা।
প্রাণে যে গ্রীষ্মের প্রচন্ড দহন,জলে থই থই কোলাকাতা এবং সোনার বাংলায় প্রাণ জুড়োয়।
বৃষ্টি হয়। অতিবৃষ্টিতে বানভাসিও হয় বাংলা। চেনা ছবি দেখা যায় প্রায় প্রতি বর্ষাতেই। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার জল জমছে এমন সব জায়গায়, যে এলাকার মানুষ সাধারণত বানভাসি হন না।
তবু ভালো,এই বিপর্যয়ে সীমান্তের কাঁটাতার ভেসে যায় এবং দেশ ভাগের ইতিহাস মুছে যায়।
বিপর্যয়ে তবু ত অখন্ড ভারতবর্ষ।
আমরা তবু হিন্দু রাষ্ট্র।
তাই ত রাজস্থানে স্কুলের পাঠ্যবইতে বিবেকানন্দ, গৌতম বুদ্ধের সঙ্গে একাসনে আসারাম
খবরে প্রকাশ,দেশের বিখ্যাত মনীষীদের উদাহরণ দিতে গিয়ে রাজস্থানের পাঠ্যবইতে এল আসারাম বাপুর প্রসঙ্গ। রাজস্থানের তৃতীয় শ্রেণীর পাঠ্যবইতে গৌতম বুদ্ধ, নানক, মাদার টেরেসা, বিবেকানন্দের সঙ্গে স্থান দেওয়া হল যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত আসারামকে। তৃতীয় শ্রেণীর বইতে বিবেকানন্দের ছবির ঠিক পাশেই হাসিমুখে থাকা হাজতবাসে থাকা আসারামের ছবি জ্বলজ্বল করছে।
খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে অস্বস্তিতে পড়ে যায় রাজস্থানের শিক্ষা মন্ত্রক। ব্যাপরটা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভুল বলেও অস্বস্তি এড়ানো যাচ্ছে না। প্রথমে বলা হয়েছিল এটা ছাপার ভুলে হয়েছে। কিন্তু ছাপার ভুল যে এত বড় হতে পারে না সেটাও পরে স্বীকার করে নেওয়া হয়।
স্বঘোষিত গডম্যান আসারামের সঙ্গে রাজস্থান সরকারের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কয়েকমাস আগে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তখন অস্বস্তি পড়েছিল বসুন্ধরা রাজের সরকার। এই ঘটনা ফের আসারাম কাণ্ডের ছায়া ফিরিয়ে আনল রাজস্থানে।
মুক্ত বাজার হয়ত চাইনি কোনো দিন,যদিও বাজার আমাদের গর্ব। বাজার আমাদের ভিত। বাজার আমাদের ভবিষত্।
আধিপাত্যবাদের মুখে ছাই দিয়ে দিল্লী থেকে বাংলা হস্তক্ষেপ শুরু করেছিলাম প্রান্তিক স্বজনকথা দেশ দুনিয়াংকে জানান দেওয়ার জন্য। ওপার বাংলার লেখায় মেলবা্ক্স ভরে যায়,এপার বাংলা ও বহির্বাংলা লিখতে পারে না ,পড়তে ও পারে না। বাজার ছাড়া কিছুই পোছে না। যারা লিখছেন গুচ্ছের পিন্ডি পিডিএফ পাছিয়ে দিচ্ছেন,যা ছাপা হয়না।
ঘেন্না ধরে গেছে মসাই। উদ্বাস্তুর ছেলেঝন্মেছি নৈনীতালের তরাইয়ে বাদাবনে উদ্বাস্তু উপনিবেশে। পাহাড়ের সেই আন্দামানে হিন্দুস্তানী হিসাবেই শিক্ষা দীক্ষা,তবু বাংলায় ফিরেছিলাম বাঙালি হব বলে। তবু ত বাঙাল ছিলাম। ভদ্র বাংলায় ভদ্র স্বজনদের হতে পারলাম না কিন্তু। ছেড়ে চলে যেতে হবে,মাস দশেক বাকী। উদ্বাস্তু ছিলাম,উদ্বাস্তু হয়েই থাকব। বাংলায় লিখতে চেয়েছিলাম,সেইস্বপ্ন মরেনি কোনো দিন। বাণভাসি সেই স্বপ্নও আজ এই প্রবল বরষণে। রবীন্দ্রনাথ হলেও, তবু শ্রাবণের জযগান লিখতে পারতাম। আমি দুর্মুখ,ধ্বংসের বার্তাবাহক।
শুধু নাগরিকত্ব নয়,দেশভাগের ক্ষতিপূরণ চাই!
বাণভাসি সোনার বাংলা,বাণভাসি সারা ভারতবর্ষ,ফড়িং শুধোয়,কত জল?
বাঁকুড়া থেকে পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম থেকে বর্ধমান, বন্যায় ভাসছে বাংলা!
সংবাদে প্রকাশ,ভারী বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি জেলায় জেলায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু রাজ্যে। মৃতদের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবার যাবেন ঝড় বিধ্বস্ত হাবড়ায়।
লাগাতার বৃষ্টিতে প্লাবিত রাজ্যের বিস্তির্ণ এলাকা। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে আরও খারাপ হতে পারে অবস্থা।
সরকারি হিসাব বলছে, অন্য বছরের থেকে এ বছর জুন-জুলাই মাসে ৬০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৭ লাখ মানুষ। দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুক্রবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন তিনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে নিজে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ঘোষণা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি যাবেন ঝড় বিধ্বস্ত অশোকনগরে।
বিভিন্ন জেলায় নজর রাখতে মন্ত্রীদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সাহায্য চাওয়া হচ্ছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ, রামকৃষ্ণ মিশনের। বাঁধে জল ছাড়া হচ্ছে কি না পার্শবর্তী রাজ্য গুলির সঙ্গে তা নিয়ে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়ছে মুখ্যসচিবকে। নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে ডিভিসির সঙ্গে। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট পাঠানো হবে কেন্দ্রকে।
২০১৪–র সাধারণ নির্বাচনে বি জে পি–র নেতৃত্বাধীন এন ডি এ–র জয়কে নতুন বিপ্লবের সূচনা বলে মনে করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পৃষ্ঠপোষক অশোক সিঙ্ঘল। তিনি দাবি করেন, ২০২০–র মধ্যে ভারত হিন্দু রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হবে।
অশোক সিঙ্ঘল বলেন, আমি একবার সাঁইবাবার আশ্রমে গিয়েছিলাম। সেখানে সাঁইবাবা আমাকে বলেছিলেন, ২০২০–র মধ্যে গোটা দেশটাই হিন্দু হয়ে যাবে। এবং ২০৩০–এর মধে্য গোটা বিশ্ব হবে হিন্দু–প্রভাবিত। অশোক সিঙ্ঘল বলেন, আমি মনে করে, বিপ্লবের সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পৃষ্ঠপোষক এক বছর আগে বি জে পি–র নির্বাচনী জয়কে '৮০০ বছরের দাসত্বের' অবসান বলে মনে করেন। তিনি বলেন, এটা কোনও মামুলি বিপ্লব নয়। এর প্রভাব ভারতের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকবে না। ছড়িয়ে পড়বে সারা বিশ্বে। সারা বিশ্বের সামনে নতুন এক আদর্শ তুলে ধরবে। ৮৮ বছর বয়স্ক নেতা সিঙ্ঘল কে এস সুদর্শনের জীবন ও কর্মের ওপর লেখা একটি গ্রন্থের প্রকাশ অনুষ্ঠােন ভাষণ দিচ্ছিলেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রাক্তন প্রধান কে এস সুদর্শনের জীবনাবসান হয় গত বছর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সুষমা স্বরাজ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও অশোক সিঙ্ঘলের বলা হিন্দু রাষ্ট্র সম্পর্কে কিছু বলেননি। উল্লেখ্য, বি জে পি–র আদর্শগত পথপ্রদর্শক রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘেরই অন্যতম অনুমোদিত সংস্থা হল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সঙ্ঘ পরিবারের শিখরে আর এস এস। আর এস এসেরই ছাতার নিচে হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলি আশ্রয় নিয়েছে। ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে চায় আর এস এস। বি জে পি অবশ্য প্রকাশ্যে তা উচ্চারণ করতে পারে না।
ইফতার নাপসন্দ
রাজনৈতিক দলগুলোর ঘটা করে ইফতার মোটেই পছন্দ নয় সঙ্ঘের। তাদের মত, ইফতারের মতো পবিত্র অনুষ্ঠানের মাহাত্ম্যকে খাটো করছেন এক শ্রেণী রাজনীতিবিদ। আর এস এস মুখপত্র 'অর্গানাইজার'–এ লেখা হয়েছে, ইফতারের নিয়ম গরিব, অভুক্ত মানুষের সঙ্গে বসে সাদামাঠা খাবার খাওয়া। সেই দিকে না গিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে সমাজের নামীদামিেদর জন্য এলাহি ভোজের আয়োজন করছে কিছু রাজনৈতিক দল। এটা হাস্যকর, ভারতীয় সংস্কৃতির অবমাননা। একই সঙ্গে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের অপমানও বটে!
No comments:
Post a Comment