Wednesday, 17 August 2016

ক্ষমতার তেলমাখা বাঁশে কত রাজা আসে ! জনতার কান্নায় কত বুক ভাসে !

ক্ষমতার তেলমাখা বাঁশে
কত রাজা আসে !
জনতার কান্নায়
কত বুক ভাসে !
কলরবের হদহুদ হুন্কারের দশা দিশা একইরকম।

এক্কেবারে হক কথা কইছেন মতুয়া তপনঃস্বপ্ন ভঙ্গ পরিবর্তনকামী সাধারণ মানুষের।
সরকার ক্রমাগত অসহিষ্ণুতা দেখাচ্ছে। পূর্বতন সরকারের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম। আশা ছিল, নতুন সরকার গণতন্ত্র রক্ষা করবে।সেগুড়ে বালি।এক রোখা জেদে চলছে সরকার,সংলাপহীন আধিপাত্যে,উচ্শৃঙ্খল বর্ণ বেষম্যের নৈরাজ্য এই মগের মুল্লুক।

পলাশ বিশ্বাস
বিদেশের মাটিতে কলরব।
বিদেশের মাটিতে কলরব।


ফুলগুলো সব লাল না হয়ে নীল হলো ক্যান অসম্ভবে কখন কবে মেঘের সাথে মিল হলো ক্যান হোক অযথা এসব কথা তাল না হয়ে তিল হলো ক্যান কুয়োর তলে ভীষণ জলে খাল না হয়ে ঝিল হলো ক্যান ধুত্তরি ছাই মাছগুলো তাই ফুল না হয়ে চিল হলো ক্যান …
শাসকের একরোখা জেদ,তাই শত বিতর্কের পরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী।

শক্তি সঞ্চয় করে হুদহুদের হুঙ্কার, ধেয়ে আসছে অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের দিকে  

শেষ মুহূর্তে অভিমুখ বদল। তাতে আন্দামান বেঁচে গেল। অন্য দিকে ডাঙার ছোঁয়া এড়ানোয় শক্তি অটুট রইল ঘূর্ণিঝড় হুদহুদের। ফলে অন্ধ্র-ওড়িশার আশঙ্কা বাড়ল।
কলরবের হদহুদ হুন্কারের দশা দিশা একইরকম।
যাদবপুর-কাণ্ডে লাবণীতে পড়ুয়াদের অবস্থান বিক্ষোভব চলছিল৷ সেই সময় বিক্ষোভকারী ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ৷ সেই ঘটনার প্রতিবাদেই বুধবার বিধাননগর কমিশনারেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান একদল পড়ুয়া৷ এদিনও তাদের মুখে শোনা গেল একই স্লোগান৷ উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগ৷ ও পুলিশের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধের দাবি জানান তাঁরা৷
প্রসঙ্গত, হোক কলরবের সমর্থনে নবমীর দিন কলকাতার উপকণ্ঠে বিধাননগরের লাবণীতে পোস্টার লিখছিলেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় ছাত্র-যুব৷ খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যায় স্থানীয় থানার পুলিশ৷ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে গোটা খবর নেওয়ার পরে প্রথমে পুলিশ কর্মীরা ফিরে গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যে দলটি ফের ফিরে আসে৷ এর পরই পোস্টার লেখার অপরাধে বেশ কয়েকজনকে পুলিশ গাড়িতে তুলি নিয়ে চলে যায়৷


সরকার ক্রমাগত অসহিষ্ণুতা দেখাচ্ছে। পূর্বতন সরকারের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম। আশা ছিল, নতুন সরকার গণতন্ত্র রক্ষা করবে।সেগুড়ে বালি।এক রোখা জেদে চলছে সরকার,সংলাপহীন আধিপাত্যে,উচ্শৃঙ্খল বর্ণ বেষম্যের নৈরাজ্য এই মগের মুল্লুক।

এই গণতন্ত্রের ধারণা অনুসারে সমাজের এলিটবর্গই রাষ্ট্র, সমাজ ও প্রশাসনিক কাজের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করে আর সাধারণ মানুষের কাজ হচ্ছে শুধু দর্শক হয়ে রাষ্ট্রের সমস্ত কাজের বাধ্য বলিপ্রদত্থ ছাগশিশুর মত কাঠগড়ায় বিনা প্রতিবাদে,বিনা প্রতিরোধে বলি হতে থাকা।

এক্কেবারে হক কথা কইছেন মতুয়া তপনঃ


লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক ঋণ মাথায় নিয়ে রাজ্যের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন করা সত্যিই কষ্টসাধ্য এ ব্যাপারে বর্তমান রাজ্য সরকারের কোন দোষ আমি দেখিনা অন্তত এই ব্যাপারে সত্যি তাঁরা নির্দোষ, তবে তাঁদের যেটা করার উপায় ছিল তা হল রাজ্যের প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলার প্রভূত উন্নতিসাধন, যাকে এক কথায় বলা যায় "গুড গভর্নেন্স"। যে ক্ষেত্রে একদমই যত্নবান হয়নি তৃণমূলের বর্তমান সরকার, ফলে বামজামানার অপশাসন বা কুশাসনের প্রকৃতার্থে কোন পরিবর্তন হয়নি। রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনার সূত্র ধরে অন্তত এতটুকু দাবী করা যায়।
আর একবার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে পরিবর্তনকামী সাধারণ মানুষের।

হক কথা।
সবাই জানে কিন্তু বলতে ভয় পান,পাছি কি থেকে কি হইয়া যায়।

কমছে কেবল টাকার দাম, আর মানুষের জীবনের দাম। প্রতিদিন খুন হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। 'পরিবর্তন' এর মাসুল সাধারণ মানুষকেই দিতে হচ্ছে।

উপজাতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে শ্রেণিবৈষম্য ও নির্যাতনের একটি পাকাপোক্ত অসাম্যের,অন্যায়ের,মহিষাসুর বধের অবিরাম ব্যবস্খা হিসেবে চালু আছে। ভারতীয় বুর্জোয়া গণতন্ত্র সাধারণ মানুষের কাছে কোনো সুখবার্তা নিয়ে যায়নি। বর্ণ ও শ্রেণিবিভক্ত রাষ্ট্রের সেই ... তাহলে জনগণের সামনে পরিবর্তনকামী হওয়া ছাড়া আর উপায় কী? সংসদে বিরোধী দল উপেক্ষিত হবে। রাজপথেও তাদের গণত্ন্ত্র অধিকার নেই,সর্বত্রই অবাধ সলোয়া জুড়ুম,অবাধ সশস্ত্র সৈন্যবিশেষাধিকার আইনের মহাঅরণ্য।


ক্ষমতার তেলমাখা বাঁশে
.. ... মু হা ম্ম দ ই উ সু ফ


ক্ষমতার তেলমাখা বাঁশে
কত রাজা আসে !
জনতার কান্নায়
কত বুক ভাসে !

কত রাজা যায়
সময় গড়ায় ...

তেলমাখা বাঁশ  বেয়ে
সব্বাই উঠে না ...
কেউ যায় হাবিয়ায়
জান্নাত জুটে না !!

০৫-১০-২০১৪
ঢাকা, বাংলাদেশ ।
অভিজিত্ নন্দী লিখেছেন যথাযথ তাঁর দেওয়ালেঃ

ভাবাচ্ছে যা -

বিকল্প রাজনৈতিক চেতনা – বিকল্প রাজনৈতিক কর্মসূচী? সে তৃতীয় ধারার, না চতূর্থ, নাকি পঞ্চম ধারার তা বলতে পারব না! বারবার যেটা ঘটতে দেখেছি তা হল, কোন একটা আঘাত বা হিংস্রতা নেমে আসে, তার প্রতিবাদ করা হয় – কখনও মিনমিনে গলায়, আবার কখনও বা শত-সহস্র মানুষের কলরবে। কিন্তু এই যে, ক্রমাগত: ঘটনার পেছনে ছোটা, এর কোনও অন্যথা হতে পারে না? অন্যদিকে, দেখেছি পার্টি রাজনীতি, যার নিজস্ব ধারা থাকে, কিন্তু সে অন্য ধারাকে জায়গা দিতে পারে না, না পেরে কখনও খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে পড়ে, কখনও বা অন্য মতের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে হিংস্রতাই হয়ে পড়ে তার সম্বল।
কিন্তু যাদবপুরের ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গড়ে ওঠা 'হোককলরব' আজকের সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক সংস্কৃতির নিস্তব্ধতায় কিছুটা হলেও ভাষা দিয়েছে, হয়ে উঠেছে আজকের দিনের গ্রহণযোগ্য স্লোগান, তাকেও তো অস্বীকার করতে পারি না। প্রত্যেকবারের মত একেও যদি আর কিছুদিনের মধ্যে 'স্বাভাবিক' মৃত্যুবরণ করতে দিই, তা কি আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক দায়িত্বহীনতা হয়ে যাবে না?
জানি, কোনও রাজনৈতিক পথপ্রদর্শন করা এই মূহুর্তে সম্ভব নয়। সম্ভব নয় বলে ফেলা – 'এটাই আমাদের দর্শন'। সে তৈরী হোক চলার পথ ধরে, অনেকের হাত ধরে। তা হোক গতিশীল।
শুধুমাত্র সামনের দিকে এগুনো মানে কিছু লোককে পেছনে ফেলে রাখা। মানতে পারি না আধুনিকতার সব কিছুই সুন্দর। আবার উন্নয়নের হিংস্রতাও চোখ এড়িয়ে যায় না। তাই প্রগতিশীলতা, আধুনিকতা বা উন্নয়ন এসব কথাগুলোও দ্বন্দ্ববিহীনভাবে উচ্চারণ করতে পারি না নিজেদের ভাবনা বা চরিত্র বর্ণনা করতে গিয়ে।
তাই কথা বলতে চাই, বুঝতে চাই - কি করতে পারি? তাই, কথা বলতে চাই তাঁদের সাথে, যাঁরা পার্টি রাজনীতির একমুখী দর্শন বা মতামতের প্রাধান্যে নিজেদের নিজস্ব বৈচিত্রকে খুইয়ে ফেলেননি, যাঁরা চান এই রাজনৈতিক সাংস্কৃতির নৈ:শব্দের এবং হিংস্রতার অবসান, যাঁরা চান হোক-কলরব।
পার্টি গড়তে চাইছি না। কোনও পার্টির বিরোধিতা-মূলক রাজনীতিও নয়। বুঝতে চাইছি, এমন কোন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা সম্ভব কিনা, যে রাজনীতিকে সাধারণ মানুষ ভয় পাবে না এবং ঘৃণা করবে না। সংসদীয় রাজনীতির বাইরেও যে সব রাজনীতির রেশ ওঠে মাঝে মাঝে, কোন কোন মুহূর্তে তাতে মানুষের ঢল নামে স্বতস্ফুর্তভাবে, বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের রাজনীতির ধরণকে একই রকম রেখে, আমরা কি বারংবার অপেক্ষা করে যাব, কবে আবার বিশেষ পরিস্থিতির উদয়ে সাধারণ মানুষের জমায়েত বাড়বে? নাকি ভাববো, আমাদের রাজনীতির ধরণটাকেই পালটানোর কথা, রাজনীতির ভাষা ও স্লোগানগুলো পালটানোর কথা, যাতে সাধারণ মানুষের কাছে তা সহজবোধ্য ও গ্রহণযোগ্য হয়। অবশ্যই এ ক্ষেত্রে populist politics এর সমস্যাগুলোও মাথায় রাখতে হবে।
প্রশ্নগুলো সহজ, কিন্তু উত্তর জানা নেই সেভাবে!
হক কথা!
যাদবপুরের গণ্ডি ছাড়িয়ে এবার 'হোক কলরবে'র ডাক রাজ্যের অন্যান্য কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেও। শুধুমাত্র যাদবপুরে ঘটনায় নয়, এবার কলেজে কলেজে বিভিন্ন হয়রানির বিরুদ্ধেও কলরব তোলার আহ্বান জানানো হল৷সব ক্ষেত্রেই পাশে থাকার বার্তা যাদবপুরের আন্দোলনকারীদের। আন্দোলনকারী এক ছাত্রের কথায়, মাঝে মধ্যেই কলেজ ক্যাম্পাসে ইউনিয়নের দাদাগিরির শিকার হন ছাত্রছাত্রীরা। এমনকী, বিভিন্ন ইস্যুতে কলেজ কর্তৃপক্ষের হেনস্তার শিকার হতে হয় পড়ুয়াদের। কিন্তু, রোষের মুখে পড়ার ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারে না পড়ুয়ারা। তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে ওই ছাত্র। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে 'হোক কলরব' ফেসবুক পেজেও সাধারণ পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা জানিয়েছে যাদবপুর আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা। পুজোর ছুটির পরেই এই বিষয়ে জোরদার প্রচার চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। পড়ুয়াদের কথায়, হোক কলরবের ফেসবুকে পেজে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা তাদের সমস্যার কথা জানালেই নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হক কলরবের আওয়াজ তুলবে যাদবপুর। kolorob
অন্যদিকে, ইতিমধ্যে আন্দোলনকারীদের দাবি না মেনে অভিজিৎ চক্রবর্তীকে স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত করেছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। আচার্যের এই সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যে ক্ষোভের আগুন ফুটছে আন্দোলনকারীদের মধ্যে। পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা কী হবে তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা সেরে ফেলেছেন আন্দোলনকারীরা। বিশেষ সূত্রে খবর, নতুন করে ফের আরও একবার পথে নামার সিদ্ধান্ত প্রতিবাদীদের। জানা গিয়েছে, পুজো মিটে গেলেই পথে নামতে পারে যাদবপুর।

'হুদহুদে'র ঝাপটায় বিপর্যস্ত হতে পারে ওড়িশা উপকূল
ওয়েব খবর: বঙ্গোপসাগর উপকূলে আসতে চলেছে 'হুদহুদ' নামক ঘূর্ণিঝড়। সূত্রের খবর, ১২ অক্টোবরের মধ্যে ওড়িশা উপকূল আছড়ে পড়বে এই বিধ্বংসী ঝড়। ওমানের অ্যাফ্রো-ইউরেসিয়ান এক পাখির নামে 'হুদহুদে'র নামকরণ হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর থেকে জানা যাচ্ছে, সোমবার থেকে দক্ষিণ মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। আন্দামান সাগরের কাছে সরে শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে দু-তিন দিনের মধ্যে ঘন্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে হুদহুদ আছড়ে পড়বে ওড়িশা উপকূলে।
আবহাওয়া দফতরের ভবিষ্যতবাণী যদি সত্যি হয়, তাহলে 'হুদহুদ' ঘূর্ণিঝড় এই প্রথম বঙ্গোপসাগরে আছড়ে পড়বে।  প্রভাব পড়তে পারে অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কিছু জায়গায় ও বিশাখাপত্তনম সংলগ্ন। তবে 'হুদহুদে'র হাতছানি থেকে বেঁচে যেতে পারে পশ্চিমবঙ্গ। এই ক'দিন মেঘলা আকাশ ও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতর।



আজকালের প্রতিবেদন: 'কলরব' এবার বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটের দপ্তরে৷‌ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ওপর পুলিসি হামলার প্রতিবাদে পুজোর সময় বিধাননগরে লাবণি আবাসনের সামনে অবস্হান বিক্ষোভে বসেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা৷‌ কলরব ঠেকাতে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস৷‌ এবার সেই গ্রেপ্তারির জবাব দিতে বুধবার কমিশনারেটের দপ্তরের সামনে পাল্টা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হলেন পড়ুয়ারা৷‌ গান, স্নোগান, পোস্টারে পুলিসের 'অতি সক্রিয়তা'র নিন্দা জানাল জমায়েত৷‌ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি অন্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়াও এই কর্মসূচিতে ছিলেন৷‌ গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে বিধাননগরের নগরপাল রাজীব কুমারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়৷‌ একই সঙ্গে এদিন পড়ুয়ারা মেয়েদের পোশাক নিয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের ফতোয়ারও প্রতিবাদ জানান৷‌ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিসি হামলার প্রতিবাদ ও উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবিতে পুজোর সময় নানা কর্মসূচি নিয়েছিলেন পড়ুয়ারা৷‌ নবমীর দিন লাবণি আবাসনের পুজোমণ্ডপের বাইরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল৷‌ অভিযোগ, শাম্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হস্তক্ষেপ করে বিধাননগর সিটি পুলিস৷‌ টেনেহিঁচড়ে প্রতিবাদীদের পুলিসের গাড়িতে তোলা হয়৷‌ গ্রেপ্তার করা হয় ১৩ জনকে৷‌ পড়ুয়াদের দাবি, এদিন নগরপাল রাজীব কুমারকে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন, ওই ঘটনা অপ্রত্যাশিত৷‌ পরবর্তীকালে পড়ুয়ারা পুলিসকে জানিয়ে কর্মসূচি নিলে এ ধরনের ঘটনার সামনে পড়তে হবে না বলেও নগরপাল আশ্বাস দিয়েছেন বলে দাবি পড়ুয়াদের৷‌ পড়ুয়াদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি সামাল দিতে বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন ছিল কমিশনারেটের দপ্তরের সামনে৷‌ এদিকে এদিন যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা ফের জানান, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি থেকে তাঁরা সরছেন না৷‌ পুজোর ছুটির পর এ নিয়ে আরও জোরদার আন্দোলন হবে৷‌

No comments:

Post a Comment