Taslima Nasreen ওসবে তো সরাসরিই জিহাদে যোগ দেওয়ার আহবান জানানো হচ্ছে।
যতদিন নাস্তিক মরছিল, ততদিন কারও টনক নড়েনি। বলেছিলাম, নাস্তিক মারা শেষ হলে সাধারণ মুসলমান মারবে, বোরখা হিজাব না পরার জন্য মারবে, নামাজ না পড়ার জন্য অথবা রোজা না রাখার জন্য মারবে। ঠিক ঠিক তাই হচ্ছে। গুলশানের ক্যাফেতে ধনীরা ছিল, ধনীদের ছেলেমেয়ে ছিল। ধনীরা মরেছে বলে জনগণের টনক নড়েছে কিছুটা। গুলশানে না হয়ে গ্রামের কোন্ও চায়ের দোকানে বা দিশি ভাত মাছের দোকানে ঢুকে কুড়িজন গবির লোককে মেরে ফেলতো যদি ওরা, বিশ্ব মিডিয়া দিনভর খবর করতো না। সরকারেরও টনক নড়তো না। কেউ মরুক আমি চাই না। তবে মনে হয় টনক নড়ানোর জন্য ধনী লোকগুলোর আত্মাহুতি দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না। এখন সরকার যদি সিনসিয়ারলি বাংলাদেশকে জঙ্গি মুক্ত করতে চায়, তবে ধরে ধরে জঙ্গিদের জঙ্গি হওয়ার শখ এখনই ঘুচিয়ে দেওয়া দরকার। ছেলেপিলেদের যারা জঙ্গি হ্ওয়ার জন্য মগজধোলাই করছে, তাদের রেহাই দিলে কিন্তু চলবে না। ওয়াজ খুৎবা নিষিদ্ধ করলে হয় না? ওসবে তো সরাসরিই জিহাদে যোগ দেওয়ার আহবান জানানো হচ্ছে। ইন্টারনেটের জিহাদি সাইটগুলো নিষিদ্ধ করা উচিত। আরও একটি জিনিস নিষিদ্ধ করা উচিত আপাতত। কোরানের অনুবাদ। বাঙালিরা পড়তে চাইলে আরবি ভাষায় কোরান পড়ুক। মূল ভাষায় কোরান পড়ার উপদেশ তো ইসলামই দেয়। পড়ুক কোরান, ভাষাটা না বুঝে পড়ুক, বিশ্বাস করে পড়ুক যে ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামে যা লেখা আছে সবই ভালো কথা, সমতার কথা, সমানাধিকারের কথা, সমমর্মিতার কথা, মানবতার কথা। কোরানে যে বিধর্মী আর অবশ্বিাসীদের মারার কথা লেখা আছে, অনুবাদ পড়ে সেটা না হয় না-ই জানুক ছেলেপিলেরা।
No comments:
Post a Comment